মোসাদের ছোট ভাই সাইয়্যেরাত মেতকাল Sayeret Matkal Israel
Top 4: Sayeret Matkal
Israel
মোসাদের ছোট ভাই নামে খ্যাত সাইয়্যেরাত মেতকাল হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম কুখ্যাত স্পেশাল র্ফোস। অন্যান্য স্পেশাল ফোর্স থেকে সাইয়্যেরাত মেতকালের পার্থক্য হলো প্রয়োজনে মেতকালের সদস্যরা প্রতিপক্ষকে খুন কিংবা অপহরণ করতেও পিছপা হয় না।
সাইয়্যেরাত মেতকালের গঠনঃ
১৯৫৪ সালে ইসরাইলের প্রথম স্পেশাল ফোর্স ‘ইউনিট ১০১’ কে কিবিয়া গণহত্যাকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।এরপর ইসরাইল আরেকটি স্পেশাল ফোর্স গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। শুধুমাত্র নৌবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স ‘শায়েতেত ১৩’ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা সম্ভব না হওয়ায় ব্রিটিশ স্পেশাল এয়ার সার্ভিসের আদলে তৈরি হয় স্পেশাল ফোর্স ‘সাইয়্যেরাত মেতকাল’।
সাইয়্যেরাত মেতকাল গঠনের সময় পুরো প্রজেক্টটাই ছিলো খুব গোপন, এমনকি এতে নিয়োগও দেওয়া হতো খুবই বিশ্বস্ত এবং একান্ত পরিচিত কমান্ডোদেরকে। ৭০ দশক থেকে মেতকালের কার্যক্রম প্রকাশিত হওয়া শুরু হয়।
সাইয়্যেরাত মেতকালের ট্রেনিংঃ
২০ মাসের ট্রেনিং কঠোর সামরিক ট্রেনিং মধ্য দিয়ে যেতে হয় প্রতিটি সাইয়্যেরাত মেতকাল এর সদস্যকে। এর আরব বেদুইনদের কাছ থেকে ট্র্যাকিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া এই স্পেশাল ফোর্সই প্রথম সন্ত্রাস দমন এবং জিম্মি উদ্ধারের জন্য বিশেষভাবে ট্রেনিংয়ের প্রচলন করে।
যোগ দিতে ইচ্ছুক ভলান্টিয়ারদেরকে নিয়ে যাওয়া হতো ‘গিব্বুশ’ ক্যাম্পে, যেখানে একটানা কয়েকদিন না ঘুমাতে দিয়ে তাদের শারীরিক ক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা করে অনুত্তীর্ণদেরকে বাদ দেওয়া হতো।
পরবর্তীতে সাইয়্যেরাত মেতকালের দেড় বছরের ট্রেনিং কার্যক্রম প্রকাশ করা হয়, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে চার মাসের মৌলিক যুদ্ধ কৌশল, তিন সপ্তাহের প্যারাস্যুটিং ট্রেনিংসহ আলাদা বিশেষ কিছু ট্রেনিং।
ইসরাইলের সায়েরেত মাতকাল
এই বাহিনীটি শত্রুর শক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। নানা ধরনের কঠোর প্রশিক্ষণ, সার্বক্ষণিক শারীরিক ও মানসিক নজরদারির মধ্য দিয়ে তাদের গড়া হয়। কেবল সবচেয়ে ভালো, এমন লোকদেরই এই বাহিনীতে রাখা হয়।
সাইয়্যেরাত মেতকালের গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনঃ-
- ১৯৬৮ সালে অপারেশন গিফট দ্বারা লেবাননে বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান ছিনতাই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
- ১৯৬৯ এ অপারেশন অপারেশন বুলমাস-৬ অনুযায়ী মিশরের গ্রীন আইল্যান্ড আক্রমণ করে
- ১৯৭২ এ অপারেশন অপারেশন আইসোটোপ
- এর মাধ্যমে তেল আবিবের সাবিন ফ্লাইট নং ৫৭১ এ হাইজেকিং এর পরিকল্পনা নৎসাত করা
- ১৯৭২ সালে অপারেশন কারাট-৩ পরিচালনা করে ৫ জন সিরিয়ান সামরিক গোয়েন্দা কর্মকতা অপহরণ।
- ১৯৭৩ সালে অপারেশন স্প্রিং অফ৷ ইয়োর্থ দ্বারা লেবাননের বৈরুতে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী নেতাদের হত্যা।
- ১৯৭৩ সালে Yom Kippur যুদ্ধে সিরিয়ার কমান্ডো থেকে হর্মোন পর্বত পুনরুদ্ধার।
- ১৯৭৪ এ অপারেশন মাওলট মিস্সেসোরের আওতায় স্কুলে জিম্মিধশার অবসান
- ১৯৭৫ সালে অপারেশন সাবোয় পরিচালনা করে হোটেলে জিম্মিদশার অবসান করা।
- ১৯৭৬ সালে অপারেশন থানন্ডার বোল্ট এর মাধ্যমে উগান্ডায় জিম্মিদশার অবসান করা৷
- ১৯৭৮ সালে অপারেশন কোস্টাল রোড মেসকারের মাধ্যমে বাসে জিম্মিদশার অবসান।
- ১৯৮০ সালে অপারেশন মিসগাভ দ্বারা Kibbutznursery তে একটি জিম্মিদশার অবসান করা।
- ১৯৮৪ সালে অপারেশন কাব-300 অনুযায়ী বাসে জিম্মিদশার অবসান।
- ১৯৮৮ সালে তিনেশিয়ায় আবু জিহাদ হত্যা।
- ১৯৮৯ সালে শেখ আবদুল করিম ওবেদ কে লেবানন থেকে অপহরণ।
- ১৯৯২ সালে অপারেশন ব্রাম্ববেল বুস অনুযায়ী ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন হত্যার ব্যর্থ পরিকল্পনা করা।
- ১৯৯৪ সালে মোস্তফা দিরানিকে অপহরণ।
- ১৯৯৪ সালে অপারেশন নাসোহোন ওয়াচম্যানের অনুযায়ী পরিচালিত হয় ব্যর্থ জিম্মি অভিযান।
- ২০০৬ সালে ২য় লেবানন যুদ্ধে অপারেশন সার্প এন্ড স্মুথের আওতায় লেবাবননে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা।
- ২০০৭ সালে সিরিয়ার পরমাণু চুল্লিতে বোমা হামলা আগে সিরিয়ায় মাটির নমুনা সংগ্রহের জন্য অপারেশন অর্চার্ড পরিচালনা।
- ২০১৭ সালে ইসলামিক স্টেট কে সাহায্যের জন্য বহিরাগত ও IS এর গোপন সভায় রেকডিং ও তা সুরক্ষিতভাবে ইজরাইলে নিয়ে যাওয়া।
No comments